প্রকাশিত: ২২/১২/২০১৭ ৮:১১ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৯:১২ এএম

নিউজ ডেস্ক::
এবার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় আগের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর পাশাপাশি বর্তমান চ্যালেঞ্জ ও বাস্তবতার নিরিখে সিদ্ধান্ত সংশোধনের সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের (জেডাব্লিউজি)। সম্প্রতি গঠিত যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের কার্যপরিধিতে এ সুযোগ রাখা হয়েছে।

কার্যপরিধি অনুযায়ী, রোহিঙ্গাদের কেবল প্রত্যাবাসনই নয়, মিয়ানমারের সমাজে তাদের একীভূত করার দায়িত্বও পালন করবে ওই ওয়ার্কিং গ্রুপ। এ ছাড়া প্রত্যাবাসনের সুনির্দিষ্ট বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে ওয়ার্কিং গ্রুপকে সহযোগিতা করার জন্য ‘কারিগরি ওয়ার্কিং গ্রুপ’ গঠন করা হতে পারে।
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার গত মঙ্গলবার ঢাকায় ওই জেডাব্লিউজি গঠন করেছে। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের পররাষ্ট্রসচিবদের নেতৃত্বে গঠিত যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপে দুই দেশের ১৫ জন করে মোট ৩০ জন সদস্য রয়েছেন। এর আগে ২৩ নভেম্বর নেপিডোতে দুই দেশের মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনসংক্রান্ত চুক্তি সই হয়।

জানা গেছে, প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার বিভিন্ন পর্যায়ে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরসহ জাতিসংঘের দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্যান্য সংস্থা এবং আগ্রহী আন্তর্জাতিক অংশীদারদের যথাযথ কাজে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানানোর কথা বলা হলেও তারা জেডাব্লিউজির কোনো পক্ষ হবে না। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারই ওই গ্রুপের দুটি পক্ষ।

জেডাব্লিউজির ২২ দফা কর্মপরিধির প্রথম দফায়ই বলা হয়েছে, ওই গ্রুপ মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত বাসিন্দাদের রাখাইন রাজ্যে ফিরে যাওয়া এবং সেখানে তাদের পুনরায় একীভূত করার কাজটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার দায়িত্ব পালন করবে। প্রত্যাবাসন চুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে জেডাব্লিউজি প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবে আলোচনা ও ঐকমত্যের ভিত্তিতে।

কূটনৈতিক সূত্রগুলোর মতে, প্রত্যাবাসনের পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের সমাজে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টিও জেডাব্লিউজির এখতিয়ারের মধ্যে রাখতে পারা বাংলাদেশের বড় অর্জন। মিয়ানমার এতে রাজি ছিল না। বাংলাদেশের জোরালো অবস্থানের কারণে শেষ পর্যন্ত বিষয়টি কর্মপরিধিতে ঠাঁই পায়।
কর্মপরিধির দ্বিতীয় দফায় বলা হয়েছে, আগের প্রত্যাবাসনগুলোর অভিজ্ঞতা, ১৯৯২ সালের যৌথ বিবৃতি এবং ১৯৯২ সাল-পরবর্তী জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা পর্যায়ের বৈঠকগুলোর সিদ্ধান্ত আমলে নিয়ে বর্তমান চ্যালেঞ্জ ও বাস্তবতার নিরিখে প্রয়োজনীয় সংশোধন করে তা অনুসরণ করতে পারে জেডাব্লিউজি।

সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে রোহিঙ্গারা! : প্রত্যাবাসন চুক্তির মতো জেডাব্লিউজির কর্মপরিধিবিষয়ক দলিলেও বলা হয়েছে, গত বছরের ৯ অক্টোবর এবং এ বছরের ২৫ আগস্ট সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার প্রসঙ্গ এসেছে। সন্ত্রাসী হামলার পর রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার বাহিনীর অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে যে তারা এসেছে সে বিষয়টির উল্লেখ নেই। কর্মপরিধিবিষয়ক দলিলেও রোহিঙ্গাদের উল্লেখ করা হয়েছে ‘মিয়ানমার রেসিডেন্ট’ বা মিয়ানমারের বাসিন্দা হিসেবে।

যতবার প্রয়োজন ততবার বৈঠক : প্রত্যাবাসন চুক্তি বাস্তবায়নে জেডাব্লিউজি যতবার প্রয়োজন ততবারই বৈঠক করতে পারবে। বৈঠক জেডাব্লিউজির সব সদস্য বা কিছু সদস্য নিয়ে হতে পারে। প্রয়োজনে নতুন সদস্য সংযোজন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো থেকে পর্যবেক্ষককে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানাতে পারবে জেডাব্লিউজি। বৈঠক পর্যায়ক্রমে দুই দেশেই অনুষ্ঠিত হবে।

যৌক্তিক সময়ের মধ্যে প্রত্যাবাসন শেষ হবে : প্রত্যাবাসন চুক্তিতেই বলা হয়েছিল, চুক্তি সই হওয়ার দুই মাসের মধ্যে ফিরে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে। জেডাব্লিউজির কর্মপরিধিতেও চুক্তি সই হওয়ার দুই মাসের মধ্যে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের প্রথম ব্যাচ মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার পর যৌক্তিক সময়ের মধ্যে আগ্রহী সবার প্রত্যাবাসন শেষ করার কথাও এখানে বলা হয়েছে। সুত্র : কালেরকন্ঠ

পাঠকের মতামত

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির আশা বাংলাদেশ-গাম্বিয়ার

রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে করা মামলার দ্রুত নিষ্পত্তিতে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ ও গাম্বিয়া। ...

কারামুক্ত হলেন মামুনুল হক

হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক কারামুক্ত হয়েছেন। শুক্রবার (৩ মে) সকাল ...

সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উখিয়ায় হবে উন্মুক্ত কারাগার, শিগগির নির্মাণ শুরু

উন্নত দেশের ন্যায় বাংলাদেশে উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ...